অবশেষে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে অটো রাইসমিল মালিক আব্দুর রাজ্জাক ফেরত পেলেন চুরি যাওয়া মিটার। তার দেখাদেখি চুরি যাওয়া আরো তিন মিল মালিকও একই কায়দায় টাকা দিয়ে মিটার ফেরত পেয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ও সেচ পাম্প মালিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিটার চুরির আতঙ্ক।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) চোরের রেখে যাওয়া নম্বরে বিকাশে টাকা পাঠান আব্দুর রাজ্জাক। টাকা পেয়ে চোরের বলে দেওয়া স্থান উপজেলার বাকশাপাড়া গ্রামের খড়ের গাদার মধ্যে মেলে মিটারটি।
গত শনিবার (৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে কাজিপুরের সোনামুখী ইউনিয়নের হরিণাথপুর গ্রামে অবস্থিত শাহাদত হোসেন রাজের একটি সেমি-অটোমিল, রুবেল হোসেনের একটি রাইসমিল এবং কাজিপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের একটি সেমি অটো ও একটি রাইসমিলের মিটার চুরি যায়। এ সময় চোরেরা চিরকুটে ফোন নম্বর লিখে মিলের কাছে রেখে যায়। রাজ্জাকের মতো অন্য তিন ব্যবসায়ীও মিটার প্রতি পাঁচ হাজার করে টাকা পাঠিয়ে মিটার ফেরত পান।

আবদুর রাজ্জাক জানান, আইনের মাধ্যমে গেলে মিটার পেতে অনেক সময় ও বিড়ম্বনা হতে পারে। তাই টাকা দিয়েই রফা করলাম।

কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পঞ্চনন্দ সরকার জানান, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। কেউ অভিযোগ করেনি। তবে নম্বরটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।